প্রকাশিত: ১:০৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৯, ২০২০
সরকার নির্ধারিত ধান-চাল সংগ্রহ মূল্যের তুলনায় বর্তমান বাজারমূল্য বেশি। ফলে মিলাররা বাজার থেকে এ দুটি পণ্য ক্রয় করে সরকারের কাছে বিক্রি করতে চাচ্ছেন না।
এমন পরিস্থিতিতে দুই পক্ষের মধ্যে প্রত্যাশা অনুযায়ী চুক্তিও হচ্ছে না। তাই চলমান আমন মৌসুমে (৭ নভেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি) ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।
কারণ সরকারের ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৮ লাখ টন। কিন্তু ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চুক্তির আওতায় চাল ১১ হাজার ৩১১ টন এবং গম ২৫৭ টন সংগ্রহ হয়েছে।
এসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে মিলারদের অসহযোগিতা করার বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অবহিত করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
প্রতিবেদনটি মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও অর্থ সচিবের কাছেও পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, চালের ঊর্ধ্বমুখী পরিস্থিতিতে অবৈধ মজুদের মাধ্যমে কেউ যাতে বাজার অস্থিতিশীল করতে না পারে, সে লক্ষ্যে বিভাগীয় খাদ্য কর্মকর্তাসহ স্থানীয় প্রশাসনকে মনিটরিংয়ের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তবে সার্বিক খাদ্য পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারিভাবে প্রয়োজনে আরও ১০ লাখ টন চাল আমদানির ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিআইডিএসের সাবেক মহাপরিচালক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ এমকে মুজেরী যুগান্তরকে বলেন, উৎপাদন তথ্য সঠিক হলে চালের মূল্য বৃদ্ধির যৌক্তিকতা নেই।
এখন মূল্য অস্বাভাবিক। অভিযোগ রয়েছে-মিলাররা বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের ক্ষমতা ব্যবহার করে সেটি করছে। এখন চাল আমদানি করা হলে বাজারে সরবরাহ বাড়বে।
এতে মিলারদের সিন্ডিকেট ভাঙবে। তবে এটি সাময়িক ব্যবস্থা। সরকারকে মিলাররা যাতে সিন্ডিকেট করতে না পারে সেজন্য টেকসই বাজার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এতে কৃষক উপকৃত হবেন।
এদিকে রোববার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার মিলারদের অসহযোগিতা প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন, সরকার কারও হুমকিতে মাথা নত করে না।
মিলারদের চুক্তির জন্য পীড়াপীড়ি করিনি আমরা। তারা তাদের হুমকি নিয়ে থাকুক। প্রয়োজনে আমরা কৃষকের কাছ থেকে ধান বেশি করে ক্রয় করব। দরকার হলে ১৫ থেকে ২০ লাখ টন চাল কেনা হবে।
পাশাপাশি বেসরকারিভাবে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু হয়েছে।
Editor In Chief : Mynul Hasan
Editor : Poliar Mohammad Wahid
Managing Editor : Muhibur Rahman Raju
CEO : Mahfuzur Rahman Adnan
Phone : 7188237535,
7188237538 (Fax)
Email : voiceofbangladesh.info@gmail.com
JOINTLY PUBLISHED FROM TORONTO, CANADA AND NEW YORK, USA.
A Concern Of Positive International Inc USA.
All Rights Reserved -2019-2021
Design and developed by Positive IT USA