প্রকাশিত: ৮:৩৩ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৯, ২০২০
যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকাটি খুবই নিরাপদ ও কার্যকর বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। তারা বলেছেন, টিকাটি করোনার সংক্রমণ ছড়ানো কমিয়ে আনে। এ ছাড়া করোনায় মৃত্যু কমিয়ে আনতেও এটি সহায়ক।
অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্বের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের এটিই প্রথম পিয়ার-রিভিউড বিশ্লেষণ। বিজ্ঞানীরা ভ্যাকসিনের বিষয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নিজেদের মধ্যে তথ্যবিনিময় করছেন। তাদের আশা, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাজ্য, ভারতসহ কয়েকটি দেশে ভ্যাকসিনটি ব্যবহারের অনুমোদন পাবে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেট মঙ্গলবার এ–সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য ও ব্রাজিলে ১১ হাজার ৩৩৬ স্বেচ্ছাসেবক ভ্যাকসিনটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশ নিচ্ছেন। টিকাটির অন্তর্বর্তী ফলে জানা গেছে, এটি সার্বিকভাবে ৭০ শতাংশ কার্যকর। টিকা পরীক্ষায় দেখা গেছে, এটি পূর্ণমাত্রায় দুই ডোজ প্রয়োগ করলে সর্বনিম্ন ৬২ শতাংশ কার্যকারিতা দেখা গেছে। তবে প্রথম ডোজ অর্ধেক মাত্রায় এবং দ্বিতীয় ডোজ পূর্ণমাত্রায় প্রয়োগ করলে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত টিকাটি কার্যকর। গবেষকরা বলছেন, ট্রায়ালে অংশ নেয়া প্রায় সবাই সুস্থ হয়েছেন কিংবা হচ্ছেন।
গবেষণার বরাত দিয়ে বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সব মিলিয়ে ২৩ হাজার ৭৪৫ স্বেচ্ছাসেবকের দেহে এ টিকার প্রয়োগ করা হয়েছে। এতে তিনজনের দেহে টিকা নেয়ার পর বিরূপ প্রভাব পড়তে দেখা গেছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে পরীক্ষার ফলের তথ্য অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। যুক্তরাজ্য, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে অক্সফোর্ডের টিকাটি জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের আবেদন করা হয়েছে। তবে টিকাটি নিয়ে এখনও কিছু প্রশ্ন রয়ে গেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো– টিকাটি কত ডোজ প্রয়োগ করা হবে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যাসকেল সোরিয়ট বলেছেন, পরীক্ষার এ ফল দেখাচ্ছে যে টিকাটি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর। এটি নিরাপদ ও সহনশীলও।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ভ্যাকসিনটির উৎপাদনে খরচ কম এবং অল্প ব্যয়ে বিপুলসংখ্যক ডোজ উৎপাদন করা যাবে। ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনের মতো এটিতে অতিরিক্ত শীতল তাপমাত্রায় রাখতে হবে না।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভ্যাকসিনোলজি বিভাগের অধ্যাপক সারাহ গিলবার্ট প্রতিবেদন প্রকাশের দিনকে ‘সম্ভবত ২০২০ সালের সেরা দিন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের আগে একাধিক প্রয়োগে ভ্যাকসিনটি কার্যকর বলে দেখা গেছে। এখন আমরা স্পষ্টভাবে কার্যকারিতা প্রমাণ পেয়েছি পিয়ার-রিভিউড প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ায়।
Editor In Chief : Mynul Hasan
Editor : Poliar Mohammad Wahid
Managing Editor : Muhibur Rahman Raju
CEO : Mahfuzur Rahman Adnan
Phone : 7188237535,
7188237538 (Fax)
Email : voiceofbangladesh.info@gmail.com
JOINTLY PUBLISHED FROM TORONTO, CANADA AND NEW YORK, USA.
A Concern Of Positive International Inc USA.
All Rights Reserved -2019-2021
Design and developed by Positive IT USA