প্রকাশিত: ১:৪৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৬, ২০২০
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হক ও ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর ফয়জুল করিম সহ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধীতাকারীদের হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘জাতির পিতার ভাস্কর্যে যারা আঘাত হেনেছে তারা কিন্তু বার বার বুঝিয়েছে তারা সেই পাকিস্তানের পথেই চলছে। কিন্তু আমরা তাদেরকে বলতে চাই, তোমাদের মতো কুলাঙ্গারদের এই বাংলাদেশে থাকার দরকার নেই। তোমরা রাতের অন্ধকারে না এসে দিনের আলোয় আসো। আমি একা তোদের সাথে মোকাবেলা করবো, সামনে আয়। আমি আল নাহিয়ান খান জয় একাই তোদের জন্য যথেষ্ট।’
আজ রবিবার ( ৬ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন ছাত্রলীগ সভাপতি। কুষ্টিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য অবমাননার প্রতিবাদে এবং জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান ঘুরে রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়।
সমাবেশে আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, যারা বাংলাদেশকে কখনো স্বীকার করেনি। রাতের অন্ধকারে ওই পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা যেমন করে বাংলাদেশে হানা দিয়েছিলো সেই পাকিস্তানের বাবাদের কথা শুনে যারা জাতির পিতার ভাস্কর্যকে অবমাননা করেছো সেই দুই কুলাঙ্গারকে যেখানেই দেখতে পাবেন তাদেরকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে দেয়ার আগে এদেরকে গণধোলাই দিয়ে হাত-পা ভেঙে দিবেন। তারপর এদের পাকিস্তানে পাঠিয়ে দিবেন।
মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে জয় বলেন, আপনারা ছাত্র সমাজের অহংকার। আপনারা কেন এই ধর্ম ব্যবসায়ী অপব্যাখ্যাকারীদের কথা শুনবেন। এরা আপনাদের কাছে ধর্মের অপব্যাখ্যা করে সাম্প্রদায়িক মেধা তৈরি করতে চায়। কিছু কুলাঙ্গার যারা আপনাদের বলাৎকার করে সেই অপব্যাখ্যাকারী পাকিস্তানপন্থী হুজুরদের উদ্দেশ্য করে বলতে চাই, আপনারা হুজুর না। আপনারা এ দেশে ধর্মকে পুঁজি করে রাজনীতি করছেন। হেফাজতকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা কিসের হেফাজত করছেন। জামায়াতে ইসলামের হেফাজত?
সমাবেশে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘আপনারা কথায় কথায় হুশিয়ারি দেন। আপনারা বলেন এদেশে নব্বই ভাগ মুসলমানদের দেশ। কিন্তু নব্বই ভাগ মুসলমানদের নিরানব্বই ভাগই আপনাদের বিরোধিতা করে। আপনাদের এই ধরনের কর্মকাণ্ডের অবজ্ঞা করে। তাহলে এই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের মুসলমানদের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকার কে দিয়েছে? আপনারা বাংলাদেশের মানুষের ‘ইমোশন’, সংবিধান, রাষ্ট্রীয় স্বার্থ নিয়ে কথা বলার অধিকার আপনাদের কে দিয়েছে? একথা আপনাদের স্পষ্ট করতে হবে।’
মামুনুল হকের উদ্দেশ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, আপনাকে আমি অনেক ভালোবাসি। কিন্তু আজকে যেভাবে আপনি ইসলামকে বিকৃত করছেন তার জন্য আপনাদেরকে ধিক্কার জানাই। ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম। হুজুর পাক (স.) বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে বাঁধার সম্মুখীন হয়েছেন। কিন্তু তিনি কখনো কাউকে আঘাত করেননি। আপনারা কোরআন হাদিসের বাইরে গিয়ে কোন আদর্শ শিক্ষা দিচ্ছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, মৌলবাদীরা আজ ভাস্কর্যের বিরোধিতা করছে, আগামীকালকে বলবে শহীদ মিনার থাকবে না, স্মৃতিসৌধ থাকবে না, ফুল দেয়া হারাম, ছবি তোলা হারাম, আমাদের মেয়েরা স্কুলে লেখাপড়া করতে পারবে না। এ ধরনের মোরাল পুলিশিং, শরিয়াহ পুলিশি হওয়ার জন্য মৌলবাদী কাঠমোল্লারা হাজির হয়েছেন। বাংলাদেশের জনগণ যুগে যুগে এদেরকে পরাজিত করেছে।
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের বিষয়ে তিনি বলেন, মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থীদের কাঠমোল্লা বলার সুযোগ নেই। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বন্ধু, সতীর্থ, মিছিলের ভাই। তিনি তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন, এই কাঠমোল্লাদের বিরুদ্ধে আজকে আমরা দাঁতভাঙা জবাব দেই। আজকে আমরা মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছি। গোটা বাঙালি জাতি আজ প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে জাতির পিতার ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম হোসেন , সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান হৃদয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মো. মেহেদি হাসান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মো. জোবায়ের আহমেদসহ অনেকে।
Editor In Chief : Mynul Hasan
Editor : Poliar Mohammad Wahid
Managing Editor : Muhibur Rahman Raju
CEO : Mahfuzur Rahman Adnan
Phone : 7188237535,
7188237538 (Fax)
Email : voiceofbangladesh.info@gmail.com
JOINTLY PUBLISHED FROM TORONTO, CANADA AND NEW YORK, USA.
A Concern Of Positive International Inc USA.
All Rights Reserved -2019-2021
Design and developed by Positive IT USA