প্রকাশিত: ১০:৩৪ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৬, ২০২০
নিউইয়র্ক : পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ (৩৩) হত্যা-মামলায় অভিযুক্ত টাইরেস হ্যাসপিল (২১) নির্দোষ দাবি করেছেন নিউইয়র্ক সিটির ক্রিমিনাল কোর্টে। তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত প্রথম ডিগ্রি হত্যা মামলায় ভিডিও ফুটেজসহ প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সাবমিট করা হয়েছে মাননীয় আদালতে। ১৩ অক্টোবর নিউইয়র্কের আদালতে স্কাইপের মাধ্যমে বিচারকের কাছে প্রথম ডিগ্রি হত্যা মামলায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন রাইকার্স আইল্যান্ড কারাগারে থাকা হ্যাসপিল। আগামী ১১ জানুয়ারি আবারও এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত। ম্যানহাটান ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির অফিস জানিয়েছে, ফাহিম সালেহ হত্যার ঘটনায় শুরুতে ২১ বছর বয়েসী হ্যাসপিলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ডিগ্রি হত্যা মামলার অভিযোগ আনা হয়। পরে বিচারক তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রথম ও দ্বিতীয় হত্যা মামলায় উন্নীত করেন। এ ছাড়া হ্যাসপিলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ডিগ্রি চুরি, দ্বিতীয় ডিগ্রিতে খুনের আলামত নষ্ট ও গোপনের অভিযোগ রয়েছে।
গত ১৩ জুলাই ফাহিম ম্যানহাটানে তার ব্যক্তিগত অ্যাপার্টমেন্টে হত্যাকান্ডের শিকার হন। ফাহিম যখন অ্যাপার্টমেন্টের লিফটে উঠছিলেন, তখন তাঁর পিছু নিয়ে দ্রæত লিফটে ঢুকে পড়েন এক ব্যক্তি। তদন্তকারীরা বলছেন, ওই ব্যক্তিই টাইরেস হ্যাসপিল। তার সঙ্গে থাকা ব্যাগে ইলেকট্রিক করাত ছিল বলে তদন্ত কর্মকর্তাদের ধারণা। লিফটের সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে, ফাহিম ওই ব্যক্তিকে কিছু জিজ্ঞেস করছেন। এরপর দুজনের মধ্যে কিছু আলাপ হতেও দেখা গেছে। পরে ফাহিমকে কিংকর্তব্যবিমূঢ় দেখাচ্ছিল। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ফাহিম লিফট থেকে ঘরে পা রাখতেই মাস্ক পরিহিত ওই ব্যক্তি ফাহিমকে আক্রমণ করেন। পেছন থেকে আঘাতের পর ফাহিম লিফট থেকে বের হতেই সামনের দিকে পড়ে যান। এরপর লিফটের দরজা বন্ধ হওয়ায় সিসিটিভির ফুটেজ আর রেকর্ড হয়নি।
তদন্তকারীরা মনে করেন, এরপরই টাইরেস ছুরিকাঘাত করে ফাহিমকে হত্যা করেন। পরে তিনি কার সার্ভিস ডেকে হোম ডিপোয় যান। কার সার্ভিসের সেই পেমেন্ট তিনি পরিশোধ করেন ফাহিমের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে। হোম ডিপো থেকে কিছু ক্লিনিং আইটেমও কেনেন টাইরেস।
ফাহিমের অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের লিফটের সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায়, পরদিন ১৪ জুলাই দুপুরে আবার ফিরে আসেন টাইরেস। সঙ্গে ছিল রিচার্জেবল ভ্যাকুয়াম।
পুলিশের মতে, এটি হত্যার চিহ্ন মুছে ফেলতে ব্যবহার করা হয়েছিল। ১৪ জুলাই দুপুরে ইলেকট্রিক করাত ব্যবহার করে ফাহিমের দেহ খন্ড খন্ড করেন হ্যাসপিল। এ সময় ফাহিমের বোন অ্যাপার্টমেন্টের দরজা নক করেন। তিনি পুলিশকে ‘ওয়েলফেয়ার চেকের’ (নিকটাত্মীয় বা প্রতিবেশীর অপমৃত্যু হয়েছে, এ রকম আশঙ্কায় পুলিশের সহায়তা চাওয়া) অনুরোধ জানান। তবে পুলিশ আসার আগেই ভবনের পেছনের সিঁড়ি দিয়ে টাইরেস পালিয়ে যান। ক্রেডিট কার্ডের লেনদেনের সূত্র ধরেই ১৭ জুলাই প্রায় এক মাইল দূরের একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জামিন নাকচ করে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।
প্রযুক্তিবিষয়ক উদ্যোক্তা ফাহিম সালেহ’র ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করলেও হ্যাসপিল তার কোম্পানিতে তালিকাভুক্ত কোনো কর্মচারী ছিলেন না। পুলিশ এর মধ্যে জানিয়েছে, ৯০ হাজার ডলার ধার নিয়েছিলেন হ্যাসপিল। ধারের অর্থ কিস্তিতে ফেরত দেওয়ার শর্তেও রাজি হয়েছিলেন ফাহিম সালেহ। এ অর্থ না দেওয়ার জন্যই হ্যাসপিল ফাহিম সালেহকে হত্যা করেছে বলে পুলিশ মনে করছে।
আদালতে দেওয়া নথিতে বলা হয়েছে, ফাহিম সালেহর অ্যাপার্টমেন্ট থেকে একটি ব্যাগে করাত, কাঁচি, ছুরি, গেøাভস ও মাস্কসহ নিহত ফাহিমের খন্ডিত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
হ্যাসপিলের মামলায় লিগ্যাল এইডের আইনজীবী অ্যাটর্নি নেভিল মিশেল বলেন, ‘মামলায় আমরা সম্ভাব্য সব বিষয় নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি। কোন পরিস্থিতিতে হত্যাকান্ড ঘটেছে, হ্যাসপিলই হত্যাকারী কিনা তা প্রমাণে দুই পক্ষের জোর লড়াই চলছে। আগামী ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত আদালত এই মামলার কার্যক্রম মূলতবি ঘোষণা করেছেন।’ এনআরবি নিউজ
Editor In Chief : Mynul Hasan
Editor : Poliar Mohammad Wahid
Managing Editor : Muhibur Rahman Raju
CEO : Mahfuzur Rahman Adnan
Phone : 7188237535,
7188237538 (Fax)
Email : voiceofbangladesh.info@gmail.com
JOINTLY PUBLISHED FROM TORONTO, CANADA AND NEW YORK, USA.
A Concern Of Positive International Inc USA.
All Rights Reserved -2019-2021
Design and developed by Positive IT USA